বিডিনিউজ ১০ ডটকম ডেস্ক: আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ৬টি সংসদীয় এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করবে। এর আগে একই ধরনের যন্ত্র এর আগে রংপুর, খুলনা, গাজীপুর ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ইলেকট্রিক যন্ত্রে আঙ্গুলের ছাপ, ভোটার নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা স্মার্ট পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভোটার শনাক্ত করা হয়। নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটকক্ষে একজন পোলিং অফিসার ভোটার ভেরিফিকেশনের কাজটি করেন।
ডেটাবেইজে ভোটার বৈধ বা অবৈধ হিসেবে শনাক্ত হলে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তা দেখতে পান পোলিং এজেন্টরা।
ভোটার বৈধ হলে মেশিনে কুইক রেসপন্স কোড (QR CODE) এবং কিছু তথ্য সম্বলিত একটি টোকেন প্রিন্ট হবে, যা ভোটারকে দেওয়া হয়।
ভোটার টোকেন নিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে গেলে ভোটিং মেশিনের QR CODE স্ক্যানারের মাধ্যমে তার টোকেন শনাক্ত করে গোপন কক্ষে থাকা ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ইস্যু করা হবে।
ভোটার পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীক দেখে বাঁ দিকের বোতামে চাপ দিয়ে সিলেক্ট করবেন। ওই ব্যালট ইউনিটে সবুজ রংয়ের CONFIRM বোতামে চাপ দিলে তার ভোট দেওয়া হয়ে যাবে।
কখনো ভুল প্রতীক সিলেক্ট করা হলে, ব্যালট ইউনিটের লাল রংয়ের CANCEL বোতাম চেপে পরে যে কোনো প্রার্থীকে আবার সিলেক্ট করা যাবে।
এভাবে দুই বার CANCEL করা যাবে, তৃতীয়বার যেটি সিলেক্ট করা হবে সেটি বৈধ ভোট হিসেবে গৃহীত হবে।
এনিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইভিএম মেলারও আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এ ৬টি সংসদীয় এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ওই সংসদীয় আসনে ভোটাররা পরীক্ষামূলক ভোট দিতে পারবেন এমনটা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।